হবিগঞ্জে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা, আটক ২

প্রকাশিত: ৭:০১ পূর্বাহ্ণ, |                          

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মা ও তার আট বছরের মেয়েকে গলা কেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন পুলিশ করেছে । ২ লাখ টাকা ও সোনার বালা চুরি গিয়ে তাদের হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতদের প্রতিবেশী আমীর হোসেন (৩০) এবং তার সহযোগী মনির মিয়া (২৮)। হত্যাকারী আমীর হোসেন সিলেট শাহপরান থানার চৌকিদিঘী এলাকার আলমগীর মিয়ার পুত্র।

শনিবার (২০ মার্চ) রাত ৮ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ উল্ল্যা (পিপিএম/বিপিএম)।

এর আগে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এর আদালতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় আসামি আমীর হোসেন হত্যাকান্ডের লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে মনির মিয়া নামে আরও একজনকে গ্রেফতার পুলিশ। একটি পুকুর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা, মোবাইল ফোন ও কিছু টাকা জব্দ করা হয়েছে।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, বাহুবল উপজেলার দীগাম্বর বাজার এলাকার বাসিন্দা সঞ্জিত দাশ (৪৫) ও আমীর হোসেন পূর্ব পরিচিত।

প্রায় তিন মাস আগে সঞ্জিত দাশের মাধ্যমেই আমীর হোসেন পার্শ্ববর্তী বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগে আমীর হোসেন সঞ্জিতের বাসায় এসে তিন হাজার টাকা ধার নেন এবং জানতে পারেন তাদের বাসায় আরও দুই লাখ টাকা এবং সোনার বালা রয়েছে।

গত ১৮ মার্চ সঞ্জিত তার স্ত্রী অঞ্জলী মালাকার (৩০) ও মেয়ে পূজা রাণী দাসকে (৮) বাসায় রেখে ব্যবসার জন্য সব্জি কিনতে সুনামগঞ্জ গিয়েছিলেন। ওইদিন মা-মেয়ে বাসায় একা থাকার সুযোগে আমীর তার আরও দুইজন সহযোগীকে নিয়ে টাকা চুরি করতে আসেন এবং এক পর্যায়ে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে আমীর হোসেন নিজেই তার হাত কেটে অজ্ঞান হওয়ার ভান করে পড়ে থাকেন এবং মানুষকে বোঝাতে চান ডাকাতরা দুইজনকে হত্যা করেছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, পুলিশের সন্দেহ হলে আমীর হোসেনকে হাসপাতাল থেকেই আটক করা হয়। তার কথামতো মনিরকে গ্রেফতার করা হয়ে। আরেক আসামি পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮ টায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহত অঞ্জলীর বাবা কার্তিক মালাকার বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন।