ধর্ষণের দায়ে ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ বহাল রবিনহোর

প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, |                          

ধর্ষণের দায়ে ৯ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রবিনহোর। গত বছর সাজার বিপক্ষে আপিল করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলা এই স্ট্রাইকার। তবে দণ্ডাদেশ বহাল রাখলো ইতালির মিলানের কোর্ট। খবরটি নিশ্চিত করে ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম লা রিপাব্লিকা।
লা রিপাব্লিকা জানায়, ২০১৩ সালে মিলানের এক নৈশক্লাবে এক আলবেনিয়ান নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন রবিনহো। নিজের ২৩তম জন্মদিন পালন করতে রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন সেই নারী। রবিনহোর সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু রিকার্দো ফ্যালকাও।
মিলান কোর্ট জানায়, কোর্টকে ভুল তথ্য দিয়ে অনুসন্ধানকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করেন রবিনহো। ইতালির সুপ্রীম কোর্টে আবেদনের সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ৪৫ দিনের মধ্যে সেই আবেদনটি করতে পারবেন রবিনহো।
২০১৭ সালে ইতালির একটি আদালত রবিনহোর বিরুদ্ধে ৯ বছরের কারাদণ্ডাদেশ ঘোষণা করে।

সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে ইতালির একপি আপিল আদালত সেই সাজা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো আপিল করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ পেলেন রবিনহো।
গত বছর ব্রাজিলের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে রবিনহো বলেন, ‘একটা মেয়ে আমার কাছে এলো। তার সম্মতিতেই আমরা কাছাকাছি আসি। তারপর আমি বাসায় চলে গেলাম। যখন আমার কাছে এল, তখন সে নেশাগ্রস্তও ছিল না। তবে আমি কাউকে ধর্ষণ করার মতো অপরাধ করিনি।’
২০১৭ সালে সেই রায়ের পর থেকেই ইতালি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় রবিনহোর। জেলের শাস্তি এড়াতে ইতালিতে খেলার চিন্তা বাতিল করেন তিনি।
গত বছরের অক্টোবরে ৩৭ বছর বয়সী রবিনহোকে দলে নিয়েছিল সান্তোস। কিন্তু এরপরই তুমুল প্রতিবাদ ওঠে যে, রবিনহো ধর্ষক। আর ধর্ষককে পুনর্বাসন করছে সান্তোস। এমন প্রতিবাদের ফলে রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।
২০০৯ সালেও ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে খেলার সময় লিডসের একটি নৈশক্লাবেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেবার জামিন পান এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।
২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে, ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ব্রাজিলের এই সাবেক তারকা। জাতীয় দলের জার্সিতে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত খেলেন মোট ১০০ ম্যাচ।