ভারতকে ‘‌নির্বাচনী স্বৈরাচার’ আখ্যা দেয়াটা ভণ্ডামি: জয়শঙ্কর

প্রকাশিত: ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ, |                          

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের উপর সরকারি নজরদারি, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের ‘‌বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র’‌–এর তকমা কেড়ে নিয়েছে সুইডেনের ভি–ডেম (ভ্যারিয়াস ডেমোক্রেসি‌) ইনস্টিটিউট। ‘‌অটোক্রেটাইজেশন গোওজ ভাইরাল’‌ নামে পঞ্চম বার্ষিক গণতন্ত্র রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ওই প্রতিষ্ঠান যাতে ভারতকে ‘‌নির্বাচনী স্বৈরাচার’‌ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপির আমল শুরু হওয়ার পর থেকেই ভারতের গণতন্ত্র ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে।

গণতন্ত্র এবং একনায়কতন্ত্র নিয়ে প্রকাশিত ওই রিপোর্টকে আদতে ‘ভণ্ডামি’ বলে মন্তব্য করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের দাবি, ‘স্বঘোষিত রক্ষাকর্তা’-রা যেভাবে চাইছেন, সেই পথে ভারত না হাঁটায় নিজেদের মতো নিয়ম বানিয়ে তা সারা বিশ্বের মতো করে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়- জয়শঙ্কর বলেছেন, “এটা আসলে ভণ্ডামি। কারণ ওদের হাতে বিশ্বের কয়েকজন স্বঘোষিত রক্ষাকর্তা রয়েছেন যারা হজম করতে পারছেন না যে ভারতের কেউ তাদের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে না। ভারত সেই ‘খেলা’য় সামিল না হওয়ায়, তারা নিজেরাই নিজেদের নিয়ম তৈরি করেন, নিজেদের মানদণ্ড খাড়া করেন এবং নিজেদের রায় দেন। সেই রায় এমনভাবে তুলে ধরেন তা যেন সারা বিশ্বের মত।”

রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভাষায় জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা সবসময় দেখি বলা হয় যে বিজেপি হল হিন্দু রাষ্ট্রবাদীদের সরকার, হিন্দু রাষ্ট্রবাদীদের দল। তাহলে আসুন জাতীয়তাবাদী নিয়ে কথা বলি। আমরা জাতীয়তাবাদী দেশ, আমরা ৭৫ টি দেশকে (করোনাভাইরাসের) টিকা দিয়েছি। আন্তর্জাতিকতাবাদের বুলি আওড়ানো দেশগুলো কতগুলো দেশকে টিকা দিয়েছে? এই দেশগুলোর মধ্যে কারা বলেছে যে, নিজেদের জনগণকে টিকা দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের যেসব মানুষদের টিকা লাগবে, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে? সেই বিষয়টি সামনে এলে এই লোকগুলো কোথায় যান? আমাদের তথাকথিত ওই ভাবধারার বিষয়টি সত্যি হলে তো নাগরিকদের অধিকার সংকুচিত হত।