গ্রীস রাষ্ট্রদূতদের কথা বলে পরিকল্পনা মন্ত্রীর সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারণা

প্রকাশিত: ১:০২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১ | আপডেট: ১:০২:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

 

গ্রীস প্রতিনিধি : গতকাল ২৩ -২-২০২১ কথাকথিত হলুদ সাংবাদিক জহির (স্বঘোষিত জহিরুল ইসলাম বিএসসি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি কে কথাকথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জহির বলে গ্রীসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোঃ আশহুদ আহমেদ, বাংলাদেশ কমিটির প্রেসিডেন্ট হাজী আব্দুল কুদ্দুস, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার মন্ত্রীর সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কিছু সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চান।
তিনি নাম শুনে সরল বিশ্বাসে যুক্ত হন অনুষ্ঠানে । পরে বুঝতে পারেন তাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। তিনি জানেন না জহিরুল ইসলাম ছাত্র দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ করেছে।
জানলে এ ধরনের অনুষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার কথা নয়।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারা কটাক্ষ করে তাদের সাথে বসার প্রশ্নই আসে না। পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন গ্রীসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত,আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল আমাকে অবগত করা উচিত ছিল।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত আশুদ আহমেদ বলেন আমাদের কথা বলে মন্ত্রীমহোদয়কে যুক্ত করা এটি অন্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে যে বক্তব্য আমাদের কাছে এসেছে আমরা তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রেরণ করব এর সত্যতা প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমাকে একজন মন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে যুক্ত করেছে।
অনুষ্ঠানে কোন মন্ত্রী থাকবেন তা বলে নাই।কারণ চোরের মনে পুলিশ পুলিশ। যুক্ত করে রীতিমতো প্রতারণা করা হয়েছে অথচ মন্ত্রীর কাছে গ্রীস আওয়ামীলীগের কথা বলা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গ্রীস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ সামাদ মাতুব্বর বলেন এই লোকটার চরিত্র এইরকম কাউকে কোনো বিষয়ে পরিষ্কার করে বলে না রীতিমতো একের পর এক ব্ল্যাকমেল করে যাচ্ছে। এর পরিণতি শুভ হবে না। গ্রীস ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন গ্রীস এর সাধারণ সম্পাদক মুমিন খান বলেন কথাকথিত রোহিঙ্গা হলুদ সাংবাদিক জহির কিছুদিন আগেও আমার মেসেঞ্জারে বেশ কয়েকবার ভিআইপি অতিথি চেয়েছে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশ কমিউনিটি, গ্রীস আওয়ামী লীগ কে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে বিক্রি করে তার সরলতা কে কাজে লাগিয়ে ব্ল্যাকমেল করেছে। এটা তার চরিত্র বেশ কিছুদিন আগে আমার সাথে ঠিক এই ব্যবহার করেছে। সাথে সাথে আমার ফেসবুক আইডিতে রোহিঙ্গা হলুদ সাংবাদিক থেকে সাবধান শিরোনামে সবাইকে বিষয়টি অবগত করেছি।এটা তার চরিত্র এজন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে প্রতারণা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন ছাত্র দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে বিএনপিতে যুক্ত হওয়া জন্য জহির মরিয়া হয়ে উঠেছে মাত্র কয়েক দিন আগে গ্রীস বিএনপি’র কাউন্সিলর হওয়ার জন্য জোর তদবির চালাচ্ছে। আমরা বিএনপিতে নিচ্ছি না কারণ এ পর্যন্ত তার কথায় আর কাজে মিল পাওয়া যায় নি। যেমন সে বলেছে জহিরুল ইসলাম বিএসসি অথচ আমরা খোঁজ করেছি উচ্চমাধ্যমিক ফেল প্রথমে বিএসসি লিখে গ্রীস প্রবাসীকে বোকা বানিয়েছে এবং এটা জাতির সাথে প্রতারণা। সে মানুষের সাথে প্রতারণা করবে এটাই স্বাভাবিক । আর চরিত্রহীন মানুষের মুখের ভাষা সুন্দর হয়ে থাকে।তিনি আরো বলেন সে গ্রীস বিএনপিকে বলেছে তার উপজেলায় বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছে অথচ স্থানীয় বিএনপির কেউ তাকে চেনে না, সালাহউদ্দীন সাহেবের পিএস ছিল অথচ এসবের কিছুই সত্যতা পাওয়া যায়নি।অন্য একটি প্রেসক্লাব থেকে বহিস্কার হয়ে আরেকটি প্রেসক্লাব করেছে বহিষ্কার হওয়া আর সংগঠন করা এটা তার কাজ, গ্রীসে চট্টগ্রামের কয়েকজন লোক বাস করেন সেখানে দুইটি সংগঠন করেছে।
আমরা দেশে খোঁজ নিয়ে দেখেছি সে শিবিরের কর্মী ছিল। তাই আওয়ামী লীগের কাছে তার মূল্য থাকতে পারে বি এন পির কাছে এ ধরনের হলুদ রোহিঙ্গা সাংবাদিকদের কোনো মূল্য নেই।