পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকা-সিলেট ছয় লেন একনেকে অনুমোদিত

প্রকাশিত: ৩:১১ অপরাহ্ণ, |                          

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত
ঢাকা-সিলেট ৪ লেন প্লাস ২ লেন প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় এই প্রক্ল্পটি অনুমোদন করা হয়। এ কাজে ব্যয় হবে মোট ১৬ হাজার ৯ শত ৮০ কোটি টাকা।
প্রক্ল্পটি অনুমোদিত হবার পর এক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি দৈনিকসিলেটডটকমকে বলেন, প্রথমে আমি মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করছি
সেই সাথে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট ৪ লেন প্লাস ২ লেন এটি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো। এটি ১৯৯২ সালে নির্মিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
প্রকল্পটি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল।
এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সিলেটে নতুন নতুন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে , আরও বেশি পর্যটকরা সিলেটে আসবে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে (এইচ-১ ও এইচ-২), বিমসটেক করিডোর (করিডোর-৩) এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোরের (এসএইচসি-৫) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে যোগাযোগের জন্য ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সড়কটি উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সাথে রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান করিডোর হওয়ায় তা চার লেনে উন্নীত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিলো।

অন্য একটি সূত্র দৈনিকসিলেটডটকমকে জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা (কাঁচপুর) থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এই চার লেনের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, ৭টি ফ্লাইওভার বা ওভারপাস, ৬টি রেলওভার ব্রিজ এবং ২৬ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা (কাঁচপুর) থেকে সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত সড়কের মোট দূরত্ব ২২৩ দশমিক ২২৮ কিলোমিটার। কিন্তু ১১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সড়ক (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত) ‘আশুগঞ্জ (নদীবন্দর)-সরাইল-দরখার-আখাউড়া (স্থলবন্দর) সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তিবায়ন হচ্ছে এবং ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরব সেতু চার লেনবিশিষ্ট হওয়ায় তা বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে সড়কের মোট ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার চার লেন করা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টেকসই সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়কগুলো ক্রমান্বয়ে চার লেনে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এডিবির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় দেশব্যাপী ১ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এর আওতায় ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।