সীমান্ত হত্যা রোধে স্পর্শকাতর এলাকায় বিজিবি-বিএসএফ যৌথ টহল দেয়া হবে

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০ | আপডেট: ৭:১৭:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সর্বদা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি-বিএসএফ) মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের প্রশংসা করে।

বিজিবি ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫১তম সীমান্ত সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সম্মেলনের এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। ভারতের আসামের গৌহাটিতে গত ২২ শুরু হওয়া এ সম্মেলন শুক্রবারই শেষ হয়েছে।

বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন। এতে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।

বিএসএফ মহাপরিচালক বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর মাধ্যমে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং এই সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য বিএসএফ মহাপরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বিজিবি মহাপরিচালক। তিনি সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিজিবি ও বিএসএফের সমন্বিত যৌথ কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (সিবিএমপি) কার্যকরভাবে বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে রয়েছে- বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিক/দুর্বৃত্ত কর্তৃক বাংলাদেশের নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা/আহত/মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে অধিক কার্যকরী উদ্যোগ হিসেবে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাসমূহে রাত্রিকালীন যৌথ টহল পরিচালনার ব্যাপারে উভয়পক্ষ সম্মত হয়। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও বেগবান করা, যথার্থ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণসহ সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।