পর্নোগ্রাফি মামলায় চিত্রপরিচালক কারাগারে

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, |                          

নবাব এলএলবি’ নামের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত একটি চলচ্চিত্রের দৃশ্যে পুলিশকে হেয় করার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় পরিচালক অনন্য মামুন ও সেই দৃশ্যে অভিনয় করা অভিনেতা শাহীন মৃধাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে আসামিদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত উপস্থাপন করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে।

মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ আদালতে দুই আসামিকে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী ডিএমপি সাইবার ক্রাইম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক মো. নসিরুল আমিন। তিনি বলেন, রাজধানীর রমনা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে অনন্য মামুন ও শাহীন মৃধার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১৬ ডিসেম্বর আই থিয়েটার নামের একটি অনলাইন অ্যাপে মুক্তি পাওয়া শাকিব খান অভিনীত ‘নবাব এলএলবি’ চলচ্চিত্রে পুলিশকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। চলচ্চিত্রটির একটি দৃশ্যে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে থানায় মামলা করার জন্য যেতে দেখা যায়। ওই দৃশ্যে পুলিশের একজন এসআই (অভিনয় করেছেন শাহীন মৃধা) ওই নারীকে ধর্ষণ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। এই দৃশ্যটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগে ২৪ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে পরিচালক অনন্য মামুনকে মিরপুরের নিজ বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহীন মৃধাকেও তার বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাদের রমনা থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

‘নবাব এলএলবি’ চলচ্চিত্রের প্রথম অংশ মুক্তি দেয়া হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ অংশ মুক্তি পাবে ১ জানুয়ারি। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, মাহিয়া মাহি, অর্চিতা স্পর্শিয়া ও শহীদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

এদিকে আটক হওয়ার চারদিন আগে ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটে একটি অভিযোগ দায়ের করেন চিত্রপরিচালক অনন্য মামুন। অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘নবাব এলএলবি’ চলচ্চিত্রের মুক্তির পর প্রথম পর্ব পাইরেসি হয়ে গেছে। এই অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি আবেদন করেন। তখন এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পাইরেসির বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযোগটিও তদন্ত করে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।