করোনা নেগেটিভ আসার পর মারা গেলেন সাবেক এমপি শামসুদ্দিন

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২০ | আপডেট: ১২:৫০:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২০

করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার কয়েক ঘণ্টা পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের (হরিরামপুর ও শিবালয়) সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শামসুদ্দিন আহমেদ।

শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুমের ছোট ছেলে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন চঞ্চল তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, জ্বর, সর্দি ও কাঁশিতে আক্রান্ত হওয়ার পর গত ৩০ নভেম্বর তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ ডিসেম্বর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। পরের দিন পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

এর পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তবে শনিবার পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এলেও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।

রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মরহুমের ছোট ছেলে শাহাবুদ্দিন চঞ্চল বলেন, সোমবার জোহরের নামাজের পর হরিরামপুরের পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর স্থানীয় ভেলাবাদ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

পারিবারিক ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামে শামসুদ্দিন আহমেদ জন্মগ্রহণ করেন। সেই সময় ঢাকার জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে তিনি স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দুই দফায় স্থানীয় হারুকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০১ সালে তিনি মানিকগঞ্জ-২ আসনের (সাবেক) স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মানিকগঞ্জে সৎ, পরিচ্ছন্ন ও আদর্শিক রাজনৈতিক হিসেবে তিনি পরিচিতি পান। একজন সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন।