ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ চেয়েছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, |                          

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের সাহেব খুব সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। চমৎকার ফিরোজা কালারের আসনে বসে তিনি প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। প্রতিদিন তিনি বিএনপিকে ধমক দেন, শিক্ষা দেন। আমি বলব, আপনি আপনার ঘরকে আগে শিক্ষা দিন। আপনার ভাই কাদের মির্জা আপনার সম্পর্কে যেসব কথা বলেন, আপনাদের দলের নেতাদের সম্পর্কে বলেন, তারপরও তো আপনাদের থাকার কথা না। পদত্যাগ করা উচিত। আপনারা নিজেদের ঘরে মারামারি করে, দলাদলি করে ইতোমধ্যে দুজনকে হত্যা করেছেন। একজন সাংবাদিক, একজন রাজনৈতিক কর্মী।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই। গত ৩১ ডিসেম্বর পৌর নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণাকালে আবদুল কাদের মির্জা ‘সত্যবচনের’ নামে আলোচনায় আসেন। গত ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। কাদের মির্জার কথিত ‘সত্যবচন’ সংঘাতের রূপ নেয় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি। এদিন তার অনুসারীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানের (বাদল) সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন স্থানীয় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

এরপর কেন্দ্র থেকে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরও একজন নিহত হন। গত মঙ্গলবারের সংঘর্ষে নিহত হন আলাউদ্দিন (৩২) নামের এক ব্যক্তি। তাকে নিজের অনুসারী দাবি করেছেন মিজানুর। এ ঘটনায় মিজানুরকে গেল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, পৌরভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ভেতরে আছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, কীভাবে সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশটাকে দলীয় সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা হয়েছে, তা তারা দেখেছেন। সরকার দেশকে শোষণ করছে। এই সরকার খুব সুকৌশলে রাষ্ট্রের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগের এখন কোনো স্বাধীনতা নেই। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার কোনো ভিত্তি নেই। সেই মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।