সাঈদ খোকনের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন তাপস

প্রকাশিত: ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ, |                          

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কিছু বলে থাকেন, সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদে থেকে দেওয়াটা সমীচীন মনে করি না।

রোববার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তাপস বলেন, ‘যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, ঘুষ গ্রহণ করে, কোনো কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, ঋণ দেওয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে এবং সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কারো থেকে কোনো কিছু জিম্মি করে অথবা কোনো কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে কিছু অর্থ নিয়ে থাকে সেই ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। এছাড়া যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা কোনোভাবেই কোনো বস্তনিষ্ঠ বক্তব্য না।’

ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার আইন ভঙ্গ করা এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের বেতন না দিতে পারার অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র তাপস বলেন, ‘এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটি কোনো গুরুত্ব বহন করে না। আর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের বেতন দিতে না পারাটা নিছকই একটি ভ্রান্ত কথা। এটার বাস্তবিক কোনো ভিত্তি নেই।’

উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে হাইকোর্ট এলাকায় কদম ফোয়ারার সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নানা অভিযোগ তোলেন শেখ তাপসের বিরুদ্ধে।

গুলিস্তান এলাকায় দুটি মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পুনর্বাসনের দাবিতে ওই মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন।

এ কর্মসূচিতে সংহতি জানাতে এসে সাঈদ খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তাঁর নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকের স্থানান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করছেন। অন্যদিকে, অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।’

এ ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯, দ্বিতীয় ভাগের দ্বিতীয় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন।